হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মুহাম্মাদ মেহদী মানদেগারী প্রশ্ন করে বলেন, “যখন বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে কষ্ট দেয়, মালিক শ্রমিকের প্রতি কঠোর হয়, কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রতি উদাসীন থাকে, ধনী গরিবকে অবহেলা করে— তখন আমরা কীভাবে আল্লাহর কাছ থেকে দয়া আশা করি?”
তিনি আইয়্যামে ফাতিমিয়া, রমজান, মহরম, সফর এবং আরবাইনের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিতি আল্লাহ ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে সম্মান করা মানে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকারকে দৃঢ় করা। প্রতিটি অংশগ্রহণ আসলে আল্লাহর পথে চলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নবায়ন করার এক মাধ্যম।
হুজ্জাতুল ইসলাম মানদেগারী বলেন, আল্লাহর সঙ্গে করা অঙ্গীকার রক্ষার জন্য তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:
১. সঠিক বোঝাপড়া: আল্লাহর বিধান সম্পর্কে সচেতনতা ও সঠিক-ভুলের স্পষ্ট ধারণা।
২. আনুগত্য: আল্লাহ যা করতে বলেছেন তা করা এবং নিষেধ করা বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকা।
৩. অটল থাকা: কঠিন সময়েও বিশ্বাসের পথে স্থির থাকা।
তিনি কুরআনের আলোকে বলেন, মানুষ একে অপরের প্রতি দয়া ও ন্যায্য আচরণ করলে আল্লাহর দয়া সমাজে নেমে আসে। অন্যথায় মানুষের অধিকার লঙ্ঘন করলে আল্লাহর বিশেষ কৃপাও থেমে যায়।
হুজ্জাতুল ইসলাম মানদেগারী সামাজিক আচরণ, শালীনতা ও অন্যের হক বা অধিকার আদায়ের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহর বিধান উপেক্ষা করা আসলে তাঁর প্রতি করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, নবী করিম (সা.) এবং ইমাম হোসেইন (আ.) কঠিন সময়েও মানুষের অধিকার রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে বলেন, “যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন তাদের মনে রাখতে হবে— তাদের পদ শহীদদের আত্মত্যাগের ফল। তারা যদি সত্যিকার অর্থে জনগণের সেবা করেন, সম্মান বাড়বে; আর যদি দায়িত্বে অবহেলা করেন, তাহলে অপমান অনিবার্য।”
শেষে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যেন মানুষ সঠিক বোঝাপড়া, আনুগত্য ও অটলতা বজায় রেখে চলতে পারে এবং এর বরকতে সমাজে কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
আপনার কমেন্ট